১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৬ সালে জন্ম এ নেয়া এ কন্যা, আসলে ত কোন কন্যা নয়, যেন একজন অগ্নিকন্যা!!! অত্যন্ত স্বাধীনচেতা এ রঙ। ই-কমার্স নিয়ে অনলাইনে পড়াশোনা করে তিনিও স্বপ্ন দেখতে থাকেন, তিনি নিজেই কিছু করবেন। আর যেহেতু ইন্টেরনেট এখন অনেক সহজলভ্য, তাই তিনি ই-কমার্স নিয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। ঝোঁক ছিল তার রান্নার প্রতি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বেছে নেন পোশাক। জন্ম দিয়েছেন প্যাস্টেলস এর। অনলাইনে অর্ডার নিয়ে থাকেন পোশাকের এমনকি বিয়ের পোশাকও। তৈরি করেছেন সুন্দর একটি ফ্যাক্টরি। সব কাজ সেখানে করা হয়। ধীরে ধীরে সুনাম আসছে।
জামার মাপ ও কাটার জন্য রয়েছেন একজন সুদক্ষ কর্মী। কারখানায় কারচুপি এম্ব্রয়ডারি ও নকশীকাঁথার কাজগুলো করা হয় সুনিপুণভাবে। এ মুহুর্তে সর্বমোট আটজন কাজ করছে এ কারখানায়।
জদিও শুরুটা সহজ ছিল না। চারদিক থেকে অসংখ্য প্রতিবন্ধকতা। তবে এ প্রতিবন্ধকতাই তাকে উপরে এনেছে। একমাত্র বাবা ছাড়া আর তেমন কারোও সহযোগিতা পাননি। সবাই যখন পড়াশোনা শেষ করে একটি ভাল কোম্পানিতে চাকরি খুজতে চায়, তখন তিনি হেটেছেন বিপরীতে। । প্রতিদিনই এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। কাজ করছেন আমাদেরই জন্য। পড়াশোনা করছেন ইউনিভারসিটি অফ মেলবোর্ন, ফাউন্ডেশন ইয়ার, কেমিকৌশল বিভাগে।
স্বাধীনচেতা এ অগ্নিকন্যা প্রতিটী ইভটিজিং এর ঘটনা তিনি প্রতিবাদ করে আসছেন অত্যন্ত সাহস আর বুদ্ধির সাথে।
এ অগ্নিকন্যা আজ মুখোমুখি হয়েছিলো প্রেস বাংলাদেশ এর, সাথে ছিলেন যুবাইর বিন ইকবাল। আলাপচারিতায় উঠে এসেছে অনেক কিছুই। পাঠকদের জন্য নির্বাচিত অংশ –
প্রশ্নঃ কবে সূচনা করেছেন?
ইফফাত ই ফারিয়াঃ সেটা ছিলো ১৯ ডিসেম্বর ২০১৪!
প্রশ্নঃ এ ব্যবসা শুরু করার পেছনের কারণ?
ইফফাত ই ফারিয়াঃ আমার আসলে ছোট থেকেই ইচ্ছা ছিল নিজে কিছু করার। এডমিশনের পরে ৬ মাস সময় হাতে ছিলো। আমি একটা বিজনেস এডমিনিস্ট্রেসশন এর শর্ট কোর্স করে ফেলি তার মাঝে। ই-কমার্সের ব্যপারে ঘাটাঘাটি করে আগ্রহ আরো বেড়ে যায়।
আমি একি দিনে ২টা পেজ খুলি অনলাইনে। একটা ছিলো Pastels, আরেকটি Cookies, cupcakes & cardio. পোশাক আর ডেজার্ট আইটেমের ভেতর যেটা চলবে মনে হয়েছিলো সেটাই বেছে নিয়েছি পরে। মানুষের এখন বিয়ের শপিংয়েভারত পাকিস্তান যাবার যে ট্রেন্ড চলছে, আমার দেখে খুব খারাপ লাগত। তখন ভাবলা আমরা তো নিজেরাই পারি আনতে বা বানাতে!
প্রশ্নঃ আপনার বর্তমান কর্মব্যস্ততা?
ইফফাত ই ফারিয়াঃ আমি এখন কামলা খাটি সোজা বাংলায় বলতে গেলে! পড়ালেখা+পার্টটাইম জব+নিজের ব্যবসা। সময় থাকে?
প্রশ্নঃ ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
ইফফাত ই ফারিয়াঃ আমার ইচ্ছা আছে দুই বিষয়ে স্নাতক শেষ করবো।ইঞ্জিনিয়ার হয়ে ফ্যাশান ডিজাইনিং নিয়ে বিজনেস! ইন্টারেস্টিং না?
প্রশ্নঃ কি ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখিন হয়েছেন?
ইফফাত ই ফারিয়াঃ আমার অনেক বড় ক্ষতি করা হয়েছে। ৬৫ হাজার ফলোয়ারের ফেসবুক পেজ টা হ্যাক করে নিয়েছে একজন। ফেরত আনার চেস্টা করিনি আর। নতুন খুলে ফেলেছি। জীবনে থেমে গেলে চলবে?
প্রশ্নঃ কতজন কাজ করছে আপনার এ প্রতিষ্ঠানে?
ইফফাত ই ফারিয়াঃ আমি প্রতিষ্ঠাতা। আমার সাথে আরো ৬ জন আছেন। তানভীর অরণ্য,জিহাদ কবি,রাহা চৌধুরি, সারোয়াত বারি,মুবাসসির সাকিব এবং জয় আচার্য। ৮ জন কাজ করে। কেউ করে কারচুপি, কেউ এম্ব্রয়ডারি, কেউ নকশীকাঁথা, মাপ মতো কাটা এবং সেলাইয়ের জন্য আলাদা মানুষ।
আর ইসলামবাদে আমাদের একটা শাখা আছে। প্রয়োজনে আমদানি করা হয় এজেন্ট এর মাধ্যমে।
প্রশ্নঃ শুরুতে মূলধন কত ছিল?
ইফফাত ই ফারিয়াঃ ৬০০০ টাকা!
প্রশ্নঃ বর্তমানে কিরকম আয় হচ্ছে?
ইফফাত ই ফারিয়াঃ খারাপ না। কিন্তু আমি খুব খরুচে স্বভাবের। সব খরচ করে ফেলি। পরে আবার টানাটানি তে পড়ে যাই!
প্রশ্নঃ নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
ইফফাত ই ফারিয়াঃ আমি সবসময় চাঁদ লক্ষ্যে রেখে আগাই। সেটা যদি হাতছাড়াও হয়ে যায়, কোনো না কোনো তারা তো হাতে পাবো?
প্রশ্নঃ ক্লায়েন্ট ফিডব্যাক কেমন?
ইফফাত ই ফারিয়াঃ ৮০% ভালো। খারাপ কেউ বলেনা আসলে। হয়তো ডেলিভারি তে সময় লাগে, কাজে সামান্য ভুল হয়,মাপে গোলমাল হয়। সেটা আমরাই আবার ঠিক করে দেই। সবাই তো স্টুডেন্ট, এতো প্রফেশনালি কাজ পারিনা।
পুরষ্কার / সম্মাননাঃ
ইফফাত ই ফারিয়াঃ এটা আবার কি! প্যাস্টেলস নিয়ে ৫-৬ টা ফিচার হয়েছে কয়েক জায়গায়। সেটা কি সম্মাননা? আমি ছোটতে খুব ভালো নাচ-কবিতা-ড্রয়িং-গান পারতাম। নতুন কুঁড়ি, শিশু একাডেমী, শিল্পকলা, ইফা এর জেলা-বিভাগীয়-জাতীয় পর্যায় এর অনেক প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়েছি।সেগুলা কি পুরস্কার? ওহ হ্যা, ২০১২ তে গ্রামীনফোন আই জিনিয়াস প্রতিযোগীতায় রাজশাহী বিভাগে রানার্স আপ ছিলাম। ইউনিসেফ বাংলাদেশ এর CR আমি। এটা চলে?
প্রশ্নঃ অবসরে কি করেন সাধারণত?
ইফফাত ই ফারিয়াঃ গান। আর খাদ্য। আমি খুব ভালো রান্না জানি।এতো ভালো, যে আমি একা ছাড়া আর কেউ খেতে পারেনা। অবসরে সেগুলো খাই।
প্রশ্নঃ কোথায় ঘুরতে পছন্দ করেন এবং সাথে কাকে নিতে পছন্দ করেন?
ইফফাত ই ফারিয়াঃ আমার পাথরের পাহাড় ভালো লাগে। সবুজ চোখ,বাদামি চুলের কোন মেয়ে সাথে থাকলে ভালো লাগবে।
প্রশ্নঃ অপছন্দের বিষয় কি?
ইফফাত ই ফারিয়াঃ প্রশ্ন করা।মানুষ এর কৌতুহল আমার অসহ্য লাগে।সবকিছু জেনে ফেলতে চায় এরা। আর মানুষকে অবিশ্বাস করা।দয়াশীলতার অভাব ও অপছন্দ।
প্রশ্নঃ কোন তারকার সাথে ডেটিঙে যেতে চান এবং কেন?
ইফফাত ই ফারিয়াঃ ৫ জনের সাথে একত্রে যাওয়া যাবে? জনি ডেপ, ফারহান আখতার, প্যাট্রিক ডেম্পসে, আরেফিন শুভ আর এমা ওয়াটসন!!!
কেনোর কোন উত্তর নাই। ভাল্লাগে, তাই।
প্রশ্নঃ নতুনদের জন্য কিছু পরামর্শ
ইফফাত ই ফারিয়াঃ না, আমি পরামর্শ দেবার মতো এমন কিছু এখনো হয়ে যাইনাই।
প্রশ্নঃ কাকে আদর্শ মনে করেন?
ইফফাত ই ফারিয়াঃ এবি ডি ভিলিয়ার্স। তার নাম লিখে গুগল করেন! বাকিটা আপনি ও বুঝবেন। সে জোস!
প্রশ্নঃ নিজের দুর্বলতা এবং কেন তাকে দুর্বলতা মনে করেন?
ইফফাত ই ফারিয়াঃ আমি মানুষকে অনেক বেশি তথ্য দিয়ে ফেলি নিজের বিষয়ে,যেটা তারা পরবর্তীতে খুব ভালোভাবে ব্যবহার করে। বিশ্বাস করি এবং আমি খুব ভালোবাসতে জানি। এটা খুব বড় দূর্বলতা।
প্রশ্নঃ দেশ গঠনে কি কি করতে চান?
ইফফাত ই ফারিয়াঃ আসলে আমাদের প্রজন্মটা কেমন জানি। এদের বুকের ভেতর মায়া নাই দেশটার জন্য। আমি অবশ্যই চেস্টা করবো খুব বড় কিছু করে ফেলার। কিন্তু সেটা কি হবে এখনো ঠিক বুঝতে পারিনা। কিন্তু করবো।
প্রশ্নঃ সবুজ পৃথিবী তৈরি করতে আপনার অভিমত?
ইফফাত ই ফারিয়াঃ শুধু সাদা মেঘ বা নীল পানি, ফিফটি শেডস অফ গ্রে দিয়ে ত জীবন চলবেনা। সবুজ লাগবে। গাছ যদি ফ্রি ওয়াইফাই দিতো, আমরা বোধহয় তাইলে সারাদিন গাছ লাগাতাম! আফসোস গাছ শুধু একটুখানি অক্সিজেন দেয়!
প্রশ্নঃ সমাজে এখন অবক্ষয়, অপরাধ অনেক বেশি। এগুলো কমাতে কি পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ বলে আপনি মনে করেন?
ইফফাত ই ফারিয়াঃ আমার মাথা খারাপ হয়ে যায় মাঝেমধ্যে খবর দেখে। প্রতিদিন খুন, ধর্ষণ, লুটপাট, অসুখ, ঘুষ, এক্সিডেন্ট। আমার দেশটা রসাতলে যাচ্ছে! আমি বেশ কয়েকটি সংগঠনের সাথে কাজ করি। ইউনিসেফ, জাস্টিস ফর ওম্যান ফাউন্ডেশন, সেভ দ্য চিল্ড্রেন্স অস্ট্রেলিয়া, ন্যাশনাল চিল্ড্রেন্স টাস্ক ফোর্স, লাইটার ফাউন্ডেশন। সবখানেই খুব ছোট ছোট প্রচেষ্টা নিয়ে কয়েকজন আপ্রাণ চেস্টা করে যাচ্ছে! এটুকু তে ধীরে ধীরে একদিন খুব বড় কোনো পরিবর্তন হয়ে যাবে আশা করি! সবচেয়ে বড় কথা সচেতনতা লাগবে। অন্যায়ে আগায়ে গিয়ে প্রতিবাদ করা লাগবে। আজ অন্যের সাথে হচ্ছে, কাল আমার আপনার সাথেও হবে। শাস্তিদান নিশ্চিত করতে হবে অপরাধীর। কতোদিন আর বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে এড়ানো যাবে?
প্রশ্নঃ বাংলাদশকে কোথায় নিয়ে যেতে চান?
ইফফাত ই ফারিয়াঃ বাংলাদেশ তো আমার একার হাতে না। আমি চেষ্টা করি সবসময় ভালো কিছু করার। কিন্তু সবাই মিলে যা শুরু করেছে,
আজকাল সবুজ পাসপোর্ট হাতে থাকা মানে অভিশাপ মনে হয়।
প্রশ্নঃ নেতিবাচক কিছু পেলে কিভাবে সামলে নেন নিজেকে?
ইফফাত ই ফারিয়াঃ নেই না। আমি খুব হতাশাবাদী মানুষ। আমি কোনো ঝামেলায় পড়লে নিজেকে গোল আলু মনে করে চুপচাপ বসে থাকি।
প্রশ্নঃ বিনে পয়সায় কেও কাজ করাতে চাইলে কিভাবে তাকে অপমান করেন?
ইফফাত ই ফারিয়াঃ অপমান করিনা। হয়তো স্ক্রিনশট নাম ঢেকে ফেসবুকে দিয়ে দেই। লজ্জা এমনিতেই পায়।
তবে কয়েকবার কিছু উদ্ভট ক্লায়েন্ট পেয়েছি যাদের আচার আচরণ এ বিরক্ত হয়ে মনে হয়েছে গিফট করে দেই। দানের খাতায় চলে যাবে।
প্রশ্নঃ পছন্দের বিষয় কি এবং কেন?
ইফফাত ই ফারিয়াঃ আমার নিজেকে খুব পছন্দ। কেন হবেনা? এরকম আর কেউ আছে?
প্রশ্নঃ কিসের প্রতি বিশেষ দূর্বলতা এবং কেন?
ইফফাত ই ফারিয়াঃ ভালো গান গাইতে পারে এরকম যেকোনো মানুষের প্রতি আমি টান অনুভব করি। চওড়া কাঁধ, সুন্দর চোখ, কোঁকড়া বাদামি চুল আর সুন্দর জুতা! আমার দূর্বল দিক।
প্রশ্নঃ কি দেখে সবচেয়ে বেশি ভয় পান এবং কেন ভয় পান?
ইফফাত ই ফারিয়াঃ আমার ইন্সমনিয়া আছে। আমি অন্ধকার ভয় পাই। এজন্য দিনে ঘুমাই। তাও খুব কম। আর পানি ভয় পাই।
পশ্নঃ এমন একটি কথা, যা কেও জানে না এখন পর্যন্ত।
ইফফাত ই ফারিয়াঃ আমার লম্বা গোলগাল কোঁকড়া বাদামি চুলের মেয়ে পছন্দ। খুব শখ একটা বৌ থাকবে নিজের!
প্রশ্নঃ কোন লুকানো কষ্ট?
ইফফাত ই ফারিয়াঃ আমার সবচেয়ে ভালোবাসার মানুষেরা কেন জানি ক্যান্সারে মারা যায়। এটা খুবই অদ্ভুত।
পশ্নঃ জীবনের সবচেয়ে আনন্দ ও কষ্টের মুহুর্ত কি কি ছিল?
ইফফাত ই ফারিয়াঃ সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত আমার জানা নাই এখনো। কষ্টের কথা মনে হয় একজন আমার কোলে মাথা রেখে মারা যায়। তার রক্তবমি হচ্ছিলো,আমার গায়ে মেখে যায়। আমি সেদিন থেকে রাতে ঘুমাতে পারিনা। এটাই মনে হয়।
প্রশ্নঃ প্রথম প্রেম কার সাথে?
ইফফাত ই ফারিয়াঃ প্রেমের সম্পর্ক? তানভীর অরণ্য। প্রথম ভালোবাসা অন্য আরেকজন।
প্রশ্নঃ প্রথম ক্রাশ কে ছিল?
ইফফাত ই ফারিয়াঃ শব্দ। অসাধারণ গানের গলার রুপবান একটা ছেলে যে এখন ঘুমিয়ে আছে একটা পুকুর পাড়ে।
প্রশ্নঃ কি খেতে পছন্দ করেন?
ইফফাত ই ফারিয়াঃ টিকিয়া। বাঁশপাতা মাছ। খাসির কাচ্চি। গাজরের হালুয়া। ব্লুবেরি পাই। পেস্তা বাদামের আইস্ক্রিম! লিস্ট শেষ হবেনা।
প্রশ্নঃ পছন্দের রঙ?
ইফফাত ই ফারিয়াঃ হাহা! আমি!
প্রশ্নঃ নিজের ভেতরে কি মুদ্রাদোষ খুজে পান?
ইফফাত ই ফারিয়াঃ আমি গালি দেই খুব। “ধুর্বাল” খুবই কমন। রাস্তা ঘাটে রিক্সাওয়ালা, বাসার দারোয়ান, চটপটির লোকের দেয়া প্রতিটা গালি আমি নোট করে রাখি আর সময়মত প্রয়োগ করি।
প্রশ্নঃ লটারীতে এক কোটি টাকা পেলে কি করবেন?
ইফফাত ই ফারিয়াঃ আম্মুকে মালদ্বীপ এর একটা ছোট অংশ কিনে রেখে আসব। জ্বালায় খুব।
প্রশ্নঃ বিয়ের পরে পুরনো প্রেমিকের সাথে দেখা হলে কি করবেন?
ইফফাত ই ফারিয়াঃ জিজ্ঞেস করবো, “যে ৮০০০ টাকা ধার নিয়েছিলা, দিবা কবে?”
প্রশ্নঃ নিজের পাঁচটি বদভ্যাসের কথা বলুন।
ইফফাত ই ফারিয়াঃ
১. গালি দেই
২. বেশি কথা বলি
৩. অল্পতে বিরক্ত হই
৪. নখ কামড়ে খাই!
৫. চুল আঁচড়াই না
প্রশ্নঃ তেলাপকা নাকি টিকটিকি, কোনটিকে বেশি ভয় পান? নাকি অন্য কিছু
ইফফাত ই ফারিয়াঃ কুকুর।